মইশোর ধোসা |
সোমবার দুপুর, অ, ত আর প তিন পেটুক মিলে জমিয়ে আড্ডা দিছে। প্রায় বছর খানেক বাদে দেখা ত এর সাথে। গল্পে আড্ডায় সময় বহিয়া গেল স্রোতের প্রায়। পেট জানান দিচ্ছে রিচাজ করার সময় হয়ে গেছে। মাংস ভাত রেডি আছে বাড়িতে। সর্বনাশ, ত এর মাথায় হাত। সোমবার যে তার নিরামিষ। এখন উপায়! রেডিমেড সমাধান নিরামিষ রেস্টুরেন্ট। অ বলল চল তবে লেক মার্কেটের বানানা লিফে। বানানা লিফ দক্ষিণভারতীয় নিরামিষ খাওয়ারে জন্য বেশ ভাল জায়গা। প আবার দক্ষিণভারতীয় খাবারের দারুন ভক্ত। খাদ্য রসিক অ এর কাছে যদিও মাংস বেটার অপশন। কিন্তু দল ভারি দেখে তাকেও প্রস্তাবে নিমরাজি হতেই হল।
এয়ার কন্ডিশন ছিমছাম রেস্টুরেন্ট। লোক সমাগম দেখে বোঝাই
যাছে যে দক্ষিণী খাওয়ারের এক মাত্র তারাই ভক্ত নয়। আতি কষ্টে জায়গা পাওয়া গেল।
মেনুকাডের ওপর প একবার চোখ বুলিয়েই রেখে দিল। বোঝা গেল প এর মনোভাব, তোমরা যা খুশিই অর্ডার করো আমার কোনোটাতেই
আপত্তি নেই। কি খাই, কি খাই করে ত-এর
চোখ পড়ল রকমারি ধোসার লিস্টে। গভীর সমস্যা, এতো রকমের ধোসা! কোনটা ট্রাই করা যেতে পারে। অ
বলল মইশোর ধোসা ট্রাই করলে কেমন হয়ে আর সাথে ঠাণ্ডা লস্সি, ভেবেইতো দিল খুশ।
পেটে ততক্ষণে আগুন! অর্ডার দেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই কলা
পাতায় করে হাজির মুচমুচে মঈশোর ধোসা। গরম গরম ধোসার দিকে তাকিয়ে তএর একটু সংশয়
ছিল। কিন্তু মুখে দেওয়ার পরে বোঝা গেল ধোসার ভিতরে মাখানো লাল চাটনিটাই হচ্ছে
তুরুপের তাস।
নিরীহ খটমট নামের এক ধোসাও যে পেট ও মনের এই রকম টেককেয়ার
করতে পারে তা হয়ত মঈশোর ধোসা না খেলে বোঝা যেতনা। কিন্তু যাবার আগে তিন পেটুক
তৈরি তাদের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে। জম্পেশ করে পান মুখে দিয়ে চলল তিনজনের খাওয়ার ও
রেস্টুরেন্ট নম্বর দেওয়ার পালা।
বানানা লিফের পরিবেশ- ভাল এবং পরিষ্কার
খাবারের স্বাদ – বেশ ভাল
দাম - একদম ঠিকঠাক
পরিবেষণ – ভাল
আরেক বার আসা যায়? অবশ্যই। বাকি ধোসা গুলো ট্রাই করতে হবে না!
আপনি যদি হন নিরামিষাশী অথবা দক্ষিণভারতীয় খাবারের ভক্ত, তাহলে একবার
আস্তেই হবে বানানা লিফে।
বানানা লিফের ঠিকানা- ৭৩, রাশ বিহারি অ্যাভেন্যু, গড়িয়াহাট, কলকাতা- ৭০০০২৬
ফোন নাম্বার- ০৩৩-২৪৬৪১৯৬০, ২৪৬৪০৯৪১
No comments:
Post a Comment