Tuesday 30 October 2018

একটি ভুতের গল্প

গুগল 





রায় গিন্নী রাধামনি দেবীর সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চার ঘণ্টা গল্প করলেন। দেরী হয়ে যাবে বলে বসতেও পারলেন না। এইটুকু পড়ে বুঝি হাসি পেল!! আরে বাকিটা তো বাকি আছে বাপু।
.
.
.
.
.
.
.
.
রাধামনি দেবী মারা গেছেন চার বছর হল। আর রায় গিন্নী আজ সকালে। আমি জানলা দিয়ে স্পষ্ট দেখলাম। আমি যদিও এখনও বেঁচে আছি।

Wednesday 10 October 2018

দলমা পাহাড়

নিটোল নিকনো উঠোন। ছোটো ছোট পা ফেলে নিশ্চিন্তে দানা খোঁজে পাখির দল। মা ও শিশু পরম শান্তিতে একটু জিরিয়ে নেয়। লাল সবুজে মাখামাখি মেঠো গন্ধ। অবাক করা সরল চাহনি। বিকেলের সূর্য ও যেখানে একটু সময় নিয়ে হেলে দুলে অস্ত যায় পাহাড়কে আলতো ছুঁয়ে। শেষ বিকেলে কাজ গুছিয়ে রাখে পল্লী বধূটি। অনন্ত প্রকৃতি যেখানে হারিয়ে যায় নিজেই নিজের মধ্যে। যেখানে ত্রস্ত ময়ূরী খুঁজে পায় চেনা মানুষের কোল। এমনি গাড় অনুভূতিতে পূর্ণ দলমার মানুষ ও তাদের ঘিরে থাকা আবহাওয়া। 

আরতো মোটে কয়েকটা দিন বাকি। পুজোর রোশনাই কিনে নেবে মুঠো মুঠো সুখ। হোই হুল্লোড় পালা পার্বণ চলবে। এমন স্বর্গীয় সুখের মাহেন্দ্র ক্ষণে কেউ যদি ওদের কথা বলে। যদি বলে এই মানুষ গুলোর চাল-চুল হীন, বস্ত্র হীন নিখাদ নগ্ন জীবনের কথা। তার ওপর কি যে ভীষণ রাগ হবে। মনে হবে এই লোকটা কি ভীষণ হিংসুটে। অভাগারা তো থাকবেই তাদের কে কেন এই আনন্দের দিনে টেনে আনা বাপু। ওদের বরঞ্চ হীরক রাজার সেই তিরপলের খাঁচায় পুরে ফেল্লেই ভাল হয়। রঙিন আচ্ছাদন ঢেকে দেবে সব দীনতা মলিনতা। অন্যদিকে এইসব বাক বিতণ্ডার সুযোগ নিয়ে, শারদীয়ার সুখের মোড়ককে ফাঁকি দিয়ে সত্যিকারের শান্তি বাসা বাঁধবে দলমার আনাচে কানাচে, পাহাড়ে, অলিতে-গলিতে।




ভিডিও - সংগৃহীত