বহু দিন থেকে একটা ব্লগ লেখার ইচ্ছা ছিল। ঠিক কবে তার দিন সাল
তারিখ মনে নেই। কিন্তু ইচ্ছা ছিল।সেই তাগিদ থেকে গুচ্ছের ব্লগ পড়ে ফেললাম। অনেক ব্লগারকে
ফলোও করে ফেললাম। ঝুড়ি ঝুড়ি লেখার খসড়া এসে মাথায় জায়গা নিলো। তারপর বেশ কিছু দিন গেল
কি নাম হবে তাই নিয়ে যমে মানুষে টানাটানি। ওই
দিদি কি নাম দিয়েছে। সেই
দাদা লেখাটাকে কেমন ভেঁজেছে। সেই
সব নিয়ম মেনে ব্লগ পড়ার বাসিন্দা হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা। কাজ ও চলছিল জেট গতিতে। তৈরি হল ব্লগ। একদিনেই একাধিক বিষয়ে লেখা পড়ে গেল। চেনা,অচেনা,সেমি চেনা কয়েক জনকে পড়ার অনুরোধ ও
করে ফেলা হল। ব্যাস। তবে তার বেশি নয়। কারণ ততদিনে আমার একনিষ্ঠ মন অন্য কোন বিষয়ে
আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর আমিও তার পিছনে ছুটেছি।
জীবনের শুরুর দিকের সময় গুলো অনেকটাই
‘গ্রোইং মাউন্টেন্স এর মত। তাই একটু অস্থির আর কাঁচা।‘ তখনও গ্রে হেয়ার এর সাক্ষাৎ
ঘটেনি। তবুও জানতাম এই অল্প বেঁচে থাকার দিন গুলোতে অনেক কাজ অনেক তাড়াতাড়ি করে ফেলতে
হবে। কোথাও যেন না আক্ষেপ থেকে যায়, এইটা করা হল না, ওইটা জানা হল না বলে। বছর গুলো
হুড়মুড়ীয়ে চলে গেল। একটা দুটো করে প্রায়ই পাকা চুলের দেখা মেলে এখন। বেশিক্ষণ মেরুদণ্ড
সোজা রাখা যায় না। এখন অনেক কাজ একসাথে করার থেকে যেকোনো একটা কাজকে মন দিয়ে ঠিক ভাবে
করতে না পারার দুঃখটাই বেশি টানে। ছোট বেলার এক এক স্তরে এক এক দল বন্ধুদের সাথে আলাপ
হয়। অজান্তেই তাদের স্বপ্ন গুলো নিজের স্বপ্নের সাথে জড়িয়ে পড়ে। হাজার বন্ধুত্বের ভিড়ে
কোথায় যেন নিজের সব থেকে কাছের বন্ধুটাকেই চেনা হয় না। নিজের সাথে নিজের গল্প কারাটাই
হয়ে ওঠেনা। নিজের সমস্ত ভুলে দোষারোপ করলেও, ভালো কাজে কোনোদিন উপহার জোটে নি। সেই
না করা কাজকে শেষ করার তাগিদ থেকেই এবারের ব্লগ। খালি একটু নিজেকে সময় দেওয়া। আর কিছুনা।
এখন ভাবি ভালোই হয়েছে আগে এই কাজটা শুরু করিনি। করলে লেখা গুলো নির্ঘাত কোন দাদা বা
দিদির মত হত। তাতে আর যাই থাকনা কেন, আমার অস্তিত্বের লেশ মাত্র থাকত না।
👍🏻👍🏻👍🏻
ReplyDelete