কল্যাণীয়
বেগুন,
শুনলাম শীত আসছে বলে তোমার নাকি দর কমছে! শোনার থেকেই মনটা
ভাল নেই। এমনটাই হয় জান তো। এমনিতেই তো লোকে তোমাকে “জার নেই গুণ সে হল বেগুন” এই
সব বলে সারা বছর নিন্দে-মন্দ করে। তার ওপর এখন হরেক রকমের সবজীরা আসছে কাটা ঘায়ে নুনের
ছিটে দিতে।
ছবি - গুগল |
তা বলে ভেবো না আমিও তোমার এই কষ্টে মজার ফোড়ন কাটছি। আমিও
খুব একটা ভাল নেই। ডাক্তাররা তো রান্নায় আমার ব্যবহারই প্রায় নিষেধ করে দিয়েছে। যদিও
এখনও সাবেকি মাংসতে আলু না দিলে চলেনা তাই রক্ষে। অথবা রোজকার রান্নাতেও আমি আছি টুকটাক।
তাও কি বলি বল, সেই থাকা প্রায় না থাকারই মত। আবার নতুন আলুর সময় হয়ে এলো আমিও বাদের
তালিকাতেই আছি তোমারই মত। যাই হোক যে জন্য তোমাকে চিঠি লেখা তা হলো, আমার বাড়ির গিন্নি
মাকে প্রায়ই বেগুনের একটা পদ রাঁধতে দেখি। সেটাই আমার সাথে থাকা সবুজ বেগুনের থেকে
জেনেছি। পদটি তোমাকে লিখে পাঠালাম। তোমাদের ঘোষ গিন্নিকে বলো সেটা রাঁধতে। আশাকরি তাতে
করে তোমার কদর বাড়বে বই কমবেনা।
|
আর কি ভাল থেকো। আশীর্বাদ করি যেন তোমার গায়ে পোকা না লাগে।
যত পোকা সব যেন ওই শীতের সবজীদের লাগে।
ইতি,
তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী,
পুরনো আলু।
তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী,
পুরনো আলু।
সময়: ২০মিনিট
উপকরণ:
বেগুন - ৪টে।
ছোলার ডাল-১০০ গ্রাম।
গোটা ধনে - ২৫ গ্রাম।
হলুদ গুঁড়ো – পরিমাণ মত।
শুকনো লঙ্কা-২/৩ টে।
নুন- স্বাদ মত।
হিংয়ের গুঁড়ো- দরকার মত।
নারকেল কোরা- ১ কাপ।
তেল – মাপ মত।
আমচুর- ২ চামচ।
পেঁয়াজ কলি বা ধনে পাতা- সাজানোর জন্য।
সাদা সুতো- এক হাত।
প্রণালী- ডাল,ধনে ও শুকনো লঙ্কা শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে
নিতে হবে। এবার বেগুনগুলি ভাল করে ধুয়ে বোঁটা সমেত আধা আধি করে চিরে নিতে হবে। একটা
পাত্রে গুঁড়ো মশলা সমেত ডাল,নারকেল কোরা,হলুদ,নুন ,আমচুর,হিংয়ের গুড়ো ভাল করে মেখে
বেগুন গুলো ফাঁক করে ওর ভেতরে ভরে দুটো পাশ সমান করে সুতো দিয়ে বেঁধে ছাঁকা তেলে ভেজে
নিন। তারপর পেঁয়াজ কলি বা ধনে পাতা ছড়িয়ে গরম গরম ভাতের বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন।
No comments:
Post a Comment